রবিবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০১১

উবুন্টুতে ব্যবহার করুন On-Screen Keyboard।

হঠাৎ করে যদি একদিন দেখেন আপনার কীবোর্ডের কোন কী কাজ করছে না, মানে নষ্ট হয়ে গেছে, কিন্তু এখনই আপনাকে একটি জরুরী কাজ করতে হবে তখন কি করবেন? এর সহজ একটি সমাধান হচ্ছে অন-স্ক্রিন কীবোর্ড। যার সাহায্যে আপনি মাউস দিয়ে ক্লিক করে কীবোর্ডের সকল কাজ করতে পারেন। ওপেন সোর্সের দুনিয়ায় উবুন্টুর জন্য আপনি অনেক রকম অন-স্ক্রিন কীবোর্ড পাবেন, তবে আমি এই লেখায় শুধুমাত্র দুইটি নিয়ে কথা বলব।

১. onBoard

এটি উবুন্টুতে ডিফল্টভাবে দেয়া থাকে। খুবই সাধারণ-সাদামাটা ইন্টারফেস, কিন্তু কাজের বেলায় একশতে একশ! অনবোর্ড চালু করার জন্য টার্মিনালে লিখুন,

onboard

এর সেটিংস পরিবর্তন করার জন্য লিখুন,

onboard-settings

সেটিংস থেকে General > Show status icon অপশনে চেক করা থাকলে আপনি প্যানেলে অনবোর্ডের আইকন দেখতে পাবেন। এতে কাজের সময় অনবোর্ড মিনিমাইজ করলে আবার যে কোন সময় একে ফিরিয়ে আনতে পারবেন।

সোমবার, ২২ আগস্ট, ২০১১

আপনার কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের তথ্য দেখুন উবুন্টুতে

অনেক সময় আমাদের নানান প্রয়োজনে আমাদের কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের বিভিন্ন তথ্য বা ইনফরমেশন দেখার প্রয়োজন পড়ে। এই কাজের জন্য উবুন্টুতে অনেক ধরণের সফটওয়্যার আছে, তবে এখানে আমি আপনাদের শুধুমাত্র তিনটি সফটওয়্যারের কথা বলব। এগুলো দিয়ে খুব সহজেই আপনি আপনার হার্ডওয়্যারের বিভিন্ন ইনফরমেশন দেখতে পাবেন।

১. lshw
ক. কমান্ড লাইন ইন্টারফেস

টার্মিনালে বা যে কোন কমান্ড লাইন ইন্টারফেসে আপনার হার্ডওয়্যারের তথ্য দেখার জন্য lshw একটি চমৎকার অ্যাপ্লিকেশন। এর সাহায্যে আপনি হার্ডওয়্যারের বিভিন্ন তথ্য যেমন বায়োস ইনফো, ফার্মওয়্যার ইনফো, মাদারবোর্ড, মেমরী, সিপিইউ ইত্যাদি আরো অনেক তথ্যাদি জানতে পারবেন। মজার ব্যাপার হল, এই অ্যাপ্লিকেশনের সাহায্যে শুধু টার্মিনালেই নয়, আপনি ইচ্ছা করলে আপনার কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের তথ্যগুলো HTML বা XML ফাইলে সংরক্ষণ করতে পারবেন।

lshw সাধারণত উবুন্টুতে ডিফল্টভাবে ইন্সটল করা থাকে। তবে যদি কোন কারণে আপনার উবুন্টুতে এটি ইন্সটল না করা থাকে, তবে ইন্সটলের জন্য লিখুন,

sudo apt-get install lshw

এবার টার্মিনালে রান করুন,

sudo lshw

আপনি যদি এই তথ্যগুলো HTML ফাইলে সংরক্ষণ করতে চান, তবে টার্মিনালে কমান্ড দিন,

cd && sudo lshw -html > hardware_info.html

এতে করে আপনার হোম ফোল্ডারে "hardware_info.html" নামে একটি ফাইল তৈরী হবে। একে আপনার ওয়েব ব্রাউজার দিয়ে খুললে আপনার কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারের তথ্যাদি দেখতে পাবেন।

সোমবার, ১৩ জুন, ২০১১

উবুন্টু ১১.০৪-এ সকল অ্যাপ্লিকেশনের জন্য প্যানেলের নোটিফিকেশন এরিয়া Re-Enable করার পদ্ধতি

উবুন্টু ১১.০৪-এ ইউনিটি ব্যবহার করা হয়েছে। এতে ডিফল্টভাবে প্যানেলের নোটিফিকেশন এরিয়া স্বল্প সংখ্যক অ্যাপ্লিকেশনের জন্য রেস্ট্রিকটেড করা আছে। এর ফলে নোটিফিকেশন এরিয়া বা Systray-তে আপনি নেটওয়ার্ক আইকন, স্কাইপি ও আর কয়েকটি অ্যাপ্লিকেশন ছাড়া বাকি কোন অ্যাপ্লিকেশনের আইকন দেখতে পাবেন না। যেমন, আপনি যদি ভিএলসি, পিজিন, শাটার, ডিল্যুয, বা কোন ডাউনলোড ম্যানেজার ব্যবহার করে যেটি সিস-ট্রেতে আইকন দেখায়, সেগুলোর আইকন এই উবুন্টু ১১.০৪-এ দেখতে পাবেন না।

এই সমস্যা থেকে রেহাই পাবার জন্য আমাদেরকে এই নোটিফিকেশন এরিয়াকে সকল অ্যাপ্লিকেশনের জন্য রি-এনাবল করতে হবে। এজন্যে প্রথমে "dconf-editor" প্যাকেজটি ইন্সটল করে নিন। টার্মিনালে টাইপ করুন,

sudo apt-get install dconf-tools

ইন্সটল শেষে Alt+F2 চেপে লিখুন "dconf-editor"। dconf-editor ওপেন হলে desktop > unity > panel-এ গিয়ে "systray-whitelist"-এর ভ্যালু পরিবর্তন করে দিন,

['all']

কাজ শেষে উবুন্টু থেকে লগআউট করে লগইন করুন।

উপরের কাজটি কমান্ড লাইনের মাধ্যমে সহজে করতে পারেন। এজন্যে টার্মিনালে লিখুন,

gsettings set com.canonical.Unity.Panel systray-whitelist "['all']"

এরপর লগআউট করে লগইন করুন।


সূত্রঃ WEB UPD8

সোমবার, ৯ মে, ২০১১

Bash স্ক্রিপ্টের সাহায্যে স্টার্টআপের সময় অটোম্যাটিক MAC অ্যাড্রেস পরিবর্তন ও PPPoE কানেক্ট পদ্ধতি

আমি পিপিপিওই কানেকশন ব্যবহার করি। এজন্যে আমার নেট কানেক্ট করার জন্য টার্মিনালে প্রথমে ল্যান কার্ডের ম্যাক অ্যাড্রেস পরিবর্তন করে পরে sudo pon dsl-provider কমান্ড দিতে হয়। এই দুইটি কাজ একটি ছোট ব্যাশ স্ক্রিপ্টের সাহায্যে করা যায়, যাতে পিসি চালু হবার পর টার্মিনালে কমান্ড না দিয়ে স্টার্টআপের সময়ই কাজ দুটি করা যায়। যারা নেট কানেক্ট করার জন্য টার্মিনালে ম্যাক অ্যাড্রেস পরিবর্তন করেন, কিংবা টার্মিনালে কমান্ড দিয়ে পিপিপিওই নেট কানেক্ট করেন, অথবা আমার মত দুটি কাজই করতে হয়, তাদের জন্য এই টিউটোরিয়াল।

প্রথমে টার্মিনাল খুলে ডিরেক্টরী পরিবর্তন করুন নিচের কমান্ড দিয়ে,

cd /etc/init.d

এবার এখানে একটি ব্যাশ স্ক্রিপ্ট তৈরী করুন,(যেমন এখানে আমি macchanger নামে একটি ফাইল তৈরী করেছি)

sudo gedit macchanger

এবার নিচের লাইনগুলো এই ফাইলে পেস্ট করে দিন। লক্ষ্য করুন, যাদের শুধুমাত্র ম্যাক পরিবর্তন করা দরকার তারা নিচের ব্যাশ স্ক্রিপ্টের শেষের দুই লাইন বাদ দিবেন আর যাদের শুধু পিপিপিওই কানেক্ট করা দরকার তারা প্রথম লাইন ও শেষের দুই লাইন রেখে মাঝখানের ৫টি লাইন বাদ দিবেন।

#!/bin/bash

#mac changer commands
sudo ifconfig eth0 down
sudo ifconfig eth0 hw ether xx:xx:xx:xx:xx:xx
sudo ifconfig eth0 up
sudo /etc/init.d/networking stop
sudo /etc/init.d/networking restart

#pppoe connection commands
sleep 5s
sudo pon dsl-provider

এখানে xx:xx:xx:xx:xx:xx এর জায়গায় আপনার কাঙ্খিত ম্যাক অ্যাড্রেস বসান। পিসিতে একাধিক ল্যান কার্ড থাকলে কোন ল্যান কার্ডে তার সংযোগ দেয়া আছে তার ভিত্তিতে eth0, eth1 ইত্যাদি সঠিক ভাবে বসাতে হবে।***

এবার ফাইলটি সেভ করে ক্লোজ করে দিন, এবং নিচের কমান্ডটি প্রয়োগ করে স্ক্রিপ্টটিকে এক্সিকিউটেবল করুন,

sudo chmod +x macchanger

এরপর নিচের কমান্ডটি দিন,

sudo update-rc.d macchanger defaults

এবার পিসি রিস্টার্ট দিয়ে টার্মিনালে ifconfig কমান্ড দিয়ে দেখুন ম্যাক পরিবর্তন ও পিপিপিওই চালু হয়েছে কিনা।

***যদি পিসিতে একটি মাত্র ল্যান কার্ড থাকে তবে স্ক্রিপ্টে eth0 বসালেই হবে। একাধিক ল্যান কার্ডের জন্য eth0, eth1 ইত্যাদির কোনটি ব্যবহার হচ্ছে তা প্রথমে নিশ্চিত হোন। টার্মিনালে ifconfig কমান্ডটি দিলে নেটওয়ার্ক অ্যাড্রেসগুলো দেখতে পাবেন। যে কার্ডের সাথে তার লাগানো থাকবে সেই কার্ডের eth ডেস্ক্রিপশনে inet addr, inet6 addr সহ আরো অনেক কিছু থাকবে যেগুলো অন্য কার্ডের বেলায় থাকবে না।

রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১১

কি করবেন, যদি আপনার সিস্টেম পুরোপুরি ফ্রিজ হয়ে যায়

মাঝে মাঝে বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন চলতে চলতে হ্যাং হয়ে যেতে পারে। এধরণের সমস্যায় পড়লে টার্মিনালে kill/xkill কমান্ড দিয়ে বা মাউস দিয়ে Forced Quit অপশন সিলেক্ট করে পার পাওয়া যেতে পারে। কিন্তু ধরুন যদি টার্মিনাল না খুলে, মাউসও কাজ না করে, কীবোর্ডের কোন কী-ই কাজ না করে তাহলে? এরকম ঘটনা লিনাক্সে যে একদমই ঘটে না তা নয়, তবে কদাচিৎ। আর লিনাক্সে এরকম অবস্থাতেও সিপিউর রিস্টার্ট বাটন না চেপে কী বোর্ড দিয়ে রিস্টার্ট করার পদ্ধতি আছে। "তবে" আমি নিজে এটা টেস্ট করে দেখিনি, কারণ আগেই বলেছি "Complete freez" লিনাক্সে খুব কম ঘটে। কিন্তু যদি সেরকম দিন আসে, তখন তো নেট ঘেটেও দেখতে পারবেন না কি করবেন, কারণ ঐ মূহুর্তে আপনার পিসি ও আপনার মাথা দুটোই ঠান্ডা বরফ মানে ফ্রিজ থাকবে। তাই আসুন এখনই জেনে নেই এরকম পরিস্থিতে পড়লে কি করবেন।

এই অবস্থায় লিনাক্সে একটি কমান্ড আছে যার নাম REISUB, এটা Alt+SysRq কী কম্বিনেশনের সাথে ব্যবহার করতে হয়। SysRq হচ্ছে কী বোর্ডের Print Screen কী যেটা দিয়ে আপনি বিভিন্ন সময় স্ক্রিনশট নিতে ব্যবহার করেন। সুতরাং কী কমান্ডটি হবে, Alt+SysRq+R-E-I-S-U-B। এখানে R-E-I-S-U-B আলাদা নয়, Alt+SysRq চেপে রাখা অবস্থায় এই কী গুলো একটু সময় নিয়ে চাপতে হবে। এই কমান্ড দিয়ে পিসি রিস্টার্ট হবে। আর যদি পিসি শাটডাউন করতে চান, তাহলে Alt+SysRq+R-E-I-S-U-O চাপুন।

REISUB শব্দটি BUSIER শব্দের উল্টো যা দিয়ে "The System is busier than it should be" অবস্থা বোঝানো হয়। REISUB দিয়ে নিচের কাজগুলো সম্পাদিত হয়,

R: Switch the keyboard from raw mode to XLATE mode.
E: Send the SIGTERM signal to all processes except init.
I: Send the SIGKILL signal to all processes except init.
S: Sync all mounted file systems (IMPORTANT).
U: Remount all mounted file systems in read-only mode.
B: Immediately reboot the system, without un-mounting partitions or syncing.
সূত্রঃ Askubuntu, Mark S. Kolich

রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১১

টার্মিনালঃ কী, কেন ও কিভাবে-৫ম পর্ব-আরো কিছু কমান্ড

আগের পর্বঃ
আগের পর্বগুলো পড়ে নিশ্চয়ই এতক্ষণে টার্মিনালে কাজ করতে বেশ মজা পাচ্ছেন। এই পর্বে আপনাদেরকে টার্মিনালের আরো কিছু কমান্ডের কথা বলব যেগুলো আপনাদের বিভিন্ন সময় কাজে লাগতে পারে।

  • প্রোগ্রাম চালু করা

  • টার্মিনালে আপনি যে কোনো প্রোগ্রাম চালু করার জন্য ঐ প্রোগ্রামের নাম লিখে এন্টার দিন। যেমন firefox চালু করার জন্য লিখুন,
    firefox
    অবশ্য, এভাবে চালু করা প্রোগ্রাম চালানোর সময় আপনি টার্মিনাল বন্ধ করতে পারবেন না। তবে প্রোগ্রামটি যদি কোন কারণে না চলে, তবে টার্মিনালে সেই এররগুলো দেখতে পাবেন। একটি টার্মিনালে একাধিক প্রোগ্রাম চালু করার জন্য & ব্যবহার করতে পারেন। যেমন প্রথমে ফায়ারফক্স চালু করার জন্য লিখুন,
    firefox &
    এরপর গেডিট চালু করার জন্য লিখুন,
    gedit &


  • &&

  • এই কমান্ড ব্যবহারের মাধ্যমে আপনি একই লাইনে একাধিক কমান্ড লিখে কাজ করতে পারবেন। যেমন PPA বা পারসোনাল প্যাকেজ আর্কাইভ থেকে পিজিন ইন্সটল করার জন্য নিচের কমান্ডগুলো তিনটি ভিন্ন ভিন্ন লাইনে লিখতে হয়,
    sudo apt-add-repository ppa:pidgin-developers/ppa
    sudo apt-get update
    sudo apt-get install pidgin
    প্রথম কমান্ডের সাহায্যে রেপোতে পিপিএ অ্যাড হবে। এরপরেরটি দিয়ে রেপো আপডেট হবে ও শেষেরটি দিয়ে পিপিএ থেকে পিজিন ইন্সটল হবে। এই তিনটি ভিন্ন লাইনকে আপনি একই লাইনে লিখতে পারেন && কমান্ডের সাহায্যে নিচের মত,
    sudo apt-add-repository ppa:pidgin-developers/ppa && sudo apt-get update && sudo apt-get install pidgin
    এই এক লাইন লিখে এন্টার দিলেই প্রতিটি কমান্ডের কাজ একটি একটি করে সম্পন্ন হবে। এখানে লক্ষ্য করুন, এই কমান্ডটি পুরোটিই কিন্তু একটি লাইন, স্ক্রিনে জায়গা না হওয়ায় কিছু অংশ নিচে দেখাচ্ছে।

টার্মিনালঃ কী, কেন ও কিভাবে-৪র্থ পর্ব-Appearence

আগের পর্বঃ
গত পর্বগুলোতে আমরা জেনেছি, টার্মিনাল কী, এটা কেন ব্যবহার করতে হয়, কিভাবে ব্যবহার করতে হয়, সুডো কি জিনিস ইত্যাদি। এই পর্বে আমরা টার্মিনালের অ্যাপিয়ারেন্স বা চেহারা সম্পর্কে আলোচনা করব। আমরা আমাদের টার্মিনালকে নিজের মনের মত করে সাজাবো।

Appearence
টার্মিনাল খোলার পর এর ডিফল্ট সাদামাটা চেহারা দেখে মন খারাপ হয়? তাহলে আসুন দেখে নেই কিভাবে এই চেহারা পরিবর্তন করে একটা "জোসস্‌..." লুক দেয়া যায়। এজন্যে টার্মিনালের মেনু থেকে Edit>>Profiles>>New বাটন প্রেস করে একটি নতুন প্রোফাইল তৈরী করুন। ধরি এর নাম দিয়েছেন "NewLook"।
এবার প্রোফাইল উইন্ডোতে NewLook সিলেক্ট করে Edit বাটন প্রেস করুন, তাহলে নিউ লুক প্রোফাইলের এডিটিং উইন্ডো আসবে। এখান থেকে টার্মিনালের অ্যাপিয়ারেন্সের যাবতীয় জিনিস পরিবর্তন করতে পারবেন।

General ট্যাবের সেটিংসগুলোর মধ্য থেকে আপনি টার্মিনালের ফন্ট এবং এর সাইজ পাল্টাতে পারবেন। তবে মনে রাখবেন টার্মিনালে অবশ্যই Monospace ফ্যামিলির ফন্ট ব্যবহার করতে হবে। "Cursor Shape" অপশন দিয়ে আপনি টার্মিনালের কার্সরকে তিনটি রূপে পরিবর্তন করতে পারবেন। আপনি চাইলে টার্মিনালের মেনুবার লুকিয়ে রাখতে পারেন "Show menubar by default..." অপশনটিতে টিক উঠিয়ে দিয়ে। আপনি যেকোন সময় Ctrl+m চেপে আবার এই মেনু দেখতে পারেন

টার্মিনালঃ কী, কেন ও কিভাবে-৩য় পর্ব-SUDO

আগের পর্বঃ
টার্মিনাল সম্পর্কে ৫ পর্বের লেখার এই পর্বে আপনাদের বলব টার্মিনালের বিখ্যাত sudo কমান্ড সম্পর্কে।

sudo কমান্ড ও এর ব্যবহার
Super User Do এর শব্দ সংক্ষেপ হচ্ছে sudo। এই সুডোর মাধ্যমে সিস্টেম অ্যাডমিন কোন নির্দিষ্ট ইউজারকে (অথবা ইউজার গ্রুপকে) root ইউজার হিসেবে সিস্টেম পরিচালনা করার ক্ষমতা প্রদান করে। কোন সফটওয়্যার ইন্সটল বা সিস্টেম মডিফিকেশনের মত গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো একমাত্র রুট ইউজারই করতে পারে। সাধারণ ইউজারদের সিকিউরিটির কারণে এ ধরণের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাজ করার অনুমতি দেয়া হয় না। যদিও উবুন্টু ইন্সটলের সময় কোন root ইউজার থাকে না, এর পরিবর্তে ভিন্ন ভিন্ন ইউজারকে sudo কমান্ড ব্যবহারের মাধ্যমে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কাজ করার ক্ষমতা দেয়া হয়। উবুন্টু ইন্সটলের সময় প্রথম যে ইউজার অ্যাকাউন্ট তৈরী হয়, ডিফল্ট ভাবে সেই ইউজারকে sudo ব্যবহারের অনুমতি দেয়া হয়। বিভিন্ন ইউজার অ্যাকাউন্টের জন্য কে কে সুডো ব্যবহার করতে পারবে সেটি আপনি Administration মেনুর Users and Groups থেকে নির্ধারণ করে দিতে পারেন।

সুডো ব্যবহার করে কোন কমান্ড দেয়ার পর সুডো আপনাকে আপনার সাধারণ ইউজার পাসওয়ার্ড দিতে বলবে। পাসওয়ার্ড দেয়ার পর সুডো পরীক্ষা করে দেখবে আপনার রুট প্রিভিলেজ আছে কিনা, থাকলে সেই কমান্ড কাজ করবে, না হলে করবে না। যেমন ধরুন আপনি উবুন্টুর রেপোজিটরী আপডেট করতে চাচ্ছেন, এজন্যে কমান্ড দিতে হবেঃ
sudo apt-get update
এই অবস্থায় আপনাকে আপনার ইউজার পাসওয়ার্ড দিতে বলবে। এখানে টার্মিনালে আপনি পাসওয়ার্ড টাইপ করার সময় সিকিরিউটির কারণে দেখাবে না, কিন্তু ঠিকই টাইপ হতে থাকবে।

টার্মিনালঃ কী, কেন ও কিভাবে-২য় পর্ব-বেসিক অপারেশন

আগের পর্বঃ
এর আগের পর্বে আপনাদের টার্মিনালের সঙ্গে মোটামুটি পরিচয় হয়েছে। আশা করি টার্মিনাল কী, কেন এই টার্মিনাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে এসম্মন্ধে ধারণা পেয়েছেন। এই পর্বে আমি আপনাদেরকে টার্মিনালের কিছু বেসিক অপারেশন সম্মন্ধে বলব। টার্মিনালে কমান্ড লেখার জন্য এই অপারেশনগুলো না জানলেই নয়।

বেসিক অপারেশন
  • Location
যারা উইন্ডোজের কমান্ড প্রম্পট ব্যবহার করেছেন, তারা এই জিনিসের সাথে পরিচিত। তবে কমান্ড প্রম্পটের লোকেশনের সাথে লিনাক্সের টার্মিনালের পার্থক্য হচ্ছে উইন্ডোজের প্রম্পটে লোকেশনের জন্য ব্যাক স্ল্যাশ(\) ব্যবহৃত হয়, আর লিনাক্সে ফরওয়ার্ড স্ল্যাশ(/) ব্যবহৃত হয়। যেমন আমার হোম ফোল্ডারে wallpaper ফোল্ডারের ভেতর nature ফোল্ডারে টার্মিনালের লোকেশন হবেঃ
icche_ghuri@lucid-lynx:~/wallpaper/nature$
টার্মিনাল ওপেন করার পর এটি হোম ফোল্ডার লোকেশনে থাকে। যেমনঃ আমার টার্মিনাল ওপেন করার পর দেখায়ঃ
icche_ghuri@lucid-lynx:~$
লক্ষ্য করুন, এখানে ~ ও $ চিহ্নের মধ্যে কোন লেখা নেই, মানে আপনি হোম ফোল্ডারে আছেন। আপনি এই $-এর পর থেকে লেখা শুরু করবেন। যদি উবুন্টু সম্পর্কিত কোন সাইটে আপনাকে বলা হয় নিচের কমান্ডটি প্রয়োগ করার জন্যঃ
sudo apt-get update
এর মানে আপনি $-এর পর এই কমান্ডটি লিখে এন্টার প্রেস করবেন।

টার্মিনালঃ কী, কেন ও কিভাবে-১ম পর্ব-টার্মিনালের সাথে পরিচয়

বাংলাদেশে নতুন-পুরাতন যত কম্পিউটার ব্যবহারকারী আছেন তাদের মধ্যে মনে হয় প্রায় শতকরা ১০০ ভাগই কম্পিউটার ব্যবহার শুরু করেছেন উইন্ডোজের কোনো না কোনো ভার্সন দিয়ে। অনেকে জানেনই না যে, উইন্ডোজ ছাড়া আর কোন অপারেটিং সিস্টেম পৃথিবীতে আছে। উইন্ডোজ থেকে লিনাক্সে আসার পেছনে সবচেয়ে বড় যে ভয় মানুষের মাঝে কাজ করে তা হল "লিনাক্সে কোড লিখে লিখে কাজ করতে হয়"! অনেকে আবার মাউস ছাড়া এই কোড লেখাকে অত্যন্ত ঝামেলা ও বিরক্তিকর মনে করেন। কিন্তু সেই যুগ পাল্টে গেছে। বিজ্ঞাপনের ভাষায় বলতে হয়, "হেই দিন কি আর আছে, দিন বদলাইছে না"? এখনকার দিনে উবুন্টুর মত শক্তিশালী অপারেটিং সিস্টেম গ্রাফিক্যাল ইউজার ইন্টারফেসে অত্যন্ত সমৃদ্ধ। আপনি এক লাইন কোড না লিখেও আপনার যাবতীয় কাজ মাউস দিয়েই উবুন্টুতে করতে পারেন।
তাহলে কেন আর অহেতুক এই পোস্টের অবতারণা? কেন টার্মিনাল নিয়ে লেখা? কারণ, খুবই সাধারণ। লিনাক্সে অভ্যস্ত কোন ব্যবহারকারীকে যদি জিজ্ঞেস করেন, "লিনাক্সের কোন সবচেয়ে শক্তিশালী অ্যাপ্লিকেশন কোনটি"? সবাই একবাক্যে জবাব দেবে "টার্মিনাল"। লিনাক্সে প্রায় সকল কাজ আপনি এই টার্মিনালে কোড লিখে সম্পন্ন করতে পারবেন। এর ব্যবহারের জন্য আহামরি এমন কোন কঠিন কোন জানার কোন প্রয়োজন নেই। একজন সাধারণ ব্যবহারকারী হিসেবে অল্প কিছু কমান্ড দিয়েই আপনি টার্মিনালে অনেক কাজ সহজে ও দ্রুত করতে পারবেন।

কী এই টার্মিনাল
লিনাক্সে মাউস ব্যবহার না করে সিস্টেম অপারেট করার জন্য কমান্ড লেখা ও প্রয়োগ করা হয় যে অ্যাপ্লিকেশনে, সেটাই হচ্ছে টার্মিনাল। উবুন্টুতে ডিফল্ট ভাবে যে টার্মিনাল দেয়া থাকে সেটা হচ্ছে GNOME Terminal। আরো বিভিন্ন রকমের টার্মিনাল অ্যাপ্লিকেশন আছে। যেমন, Konsole, Terminator, Guake, Tilda, Yakuake ইত্যাদি। নামে ও চেহারা ভিন্ন হলেও এদের কাজ একই রকম। এখানে আমি শুধু উবুন্টুর ডিফল্ট টার্মিনাল অ্যাপ্লিকেশন গ্নোম টার্মিনাল ও উবুন্টুতে এর ব্যবহার নিয়ে কথা বলব।

রবিবার, ১০ এপ্রিল, ২০১১

Nautilus Elementary - বাড়িয়ে দিন আপনার নটিলাসের সৌন্দর্য্যকে

নটিলাস হচ্ছে উবুন্টুর ডিফল্ট ফাইল ব্রাউজার, যেটা দিয়ে আমরা আমাদের পিসিতে থাকা ফাইল/ফোল্ডারগুলো ওপেন করি, বা কাট/কপি/পেস্ট সহ ইত্যাদি কাজ করে থাকি। যখন উবুন্টু কারমিক বা উবুন্টু ৯.১০ ডেভেলাপের কাজ চলছিল, তখন ডেভেলাপাররা একটি আইডিয়া দাঁড় করান, যাতে বলা হয় এই নটিলাসের মেনু এবং কলামগুলো অনেক বৃহৎ আকৃতির এবং এটা মনিটরের অনেক জায়গা দখল করে রাখে। এই আইডিয়া থেকেই পরবর্তীতে "নটিলাস এলেমেন্টারী"-র সূচনা হয়। এটি নটিলাসের আলাদা কোন ভার্সন নয়, বরং মূল নটিলাসের সাথে ছোট একটি প্যাচ ব্যবহৃত হয়।

শুক্রবার, ৮ এপ্রিল, ২০১১

উবুন্টুতে ব্যবহার করুন Mint Menu


যারা লিনাক্স মিন্ট ব্যবহার করেছেন, তারা এর মধ্যেই এই মিন্ট মেনুর সাথে পরিচিত। উবুন্টুর প্যানেলে যে মেনুটি দেয়া থাকে তার নাম মেনু বার। মিন্ট মেনুর ইন্টারফেস ও ইউজেবিলিটি এই মেনু বারের তুলনায় অনেক অনেকগুন ভাল। তাছাড়া এই মেনু বার প্যানেলের অনেকখানি জায়গা দখল করে রাখে। যারা একটি মাত্র প্যানেল ব্যবহার করতে চান তাদের জন্য এটি বিরক্তিকরই বটে। মিন্ট মেনু হতে পারে এক্ষেত্রে উপযুক্ত সমাধান।

মিন্ট মেনু ইন্সটলের জন্য প্রথমে পিপিএ যোগ করে নিন। এ জন্য টার্মিনালে লিখুনঃ
sudo add-apt-repository ppa:webupd8team/mintmenu

বৃহস্পতিবার, ৭ এপ্রিল, ২০১১

BURG গ্রাফিক্যাল বুটলোডারঃ ইন্সটলেশন ও ব্যবহার পদ্ধতি


যারা উবুন্টু ব্যবহার করেন, তাদের সাথে ইতিমধ্যে GRUB বুট লোডারের সাথে পরিচয় আছে। এটি আপনার পিসি বুট হওয়ার সময় পিসিতে ইন্সটল করা বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম পছন্দ করতে সাহায্য করে। Brand-new Universal loadeR from GRUB বা BURG হচ্ছে এই গ্রাবের একধরনের গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেস। গ্রাবের অত্যন্ত সাদামাটা ইন্টাফেসকে বার্গ দারুন সুন্দর গ্রাফিক্যালি উপস্থাপন করতে পারে। তবে এই সুবিধাটি শুধু মাত্র আলাদা পার্টিশন করে ইন্সটল করা উবুন্টুর জন্য প্রযোজ্য, উবি দিয়ে ইন্সটল করা উবুন্টুর জন্য নয়। আপনি যদি উবি দিয়ে উবুন্টু ইন্সটল করে থাকেন, তবে ভুলেও বার্গ ইন্সটল করার চেষ্টা করবেন না।

সাধারণ গ্রাব

মঙ্গলবার, ৫ এপ্রিল, ২০১১

উবুন্টুতে ফন্ট ইন্সটল পদ্ধতি

নানান প্রয়োজনে আমাদের উবুন্টুতে ফন্ট ইন্সটলের দরকার পড়ে। উবুন্টুতে ফন্ট ইন্সটল এখন আগের চাইতে অনেক সহজ কাজ। কোন একটি ফন্ট ফাইল ডাবল ক্লিক করে ওপেন করুন। এরপর নিচের দিকে "Install" বাটনে ক্লিক করলেই আপনার ফন্টটি ইন্সটল হয়ে যাবে।


pyFontFixer: লিনাক্সের জন্য ফন্ট ফ্যামিলি অপটিমাইজার

উবুন্টু ইন্সটল করার পর যে জিনিসটা সবচেয়ে খারাপ লাগে সেটা হল এর ডিফল্ট বাংলা ফন্ট। সোলায়মানলিপির মত এত ভালমানের সুন্দর বাংলা ফন্ট থাকতেও কেন যে এই ফন্ট দেয়া হয় বুঝি না। সব সময় চাইতাম এই ফন্টটাকে পরিবর্তন করে সোলায়মানলিপিকে ডিফল্ট করতে, যেন বাংলা লেখার সময় ঐ ডিফল্ট ফন্টটি না আসুক। বেশ কিছুদিন আগেও এই ডিফল্ট ফন্ট পরিবর্তন বেশ ঝামেলার কাজ ছিল। তবে গত বছরের শেষের দিকে এই pyfontfixer সফটওয়্যারটি রিলিজ হয়, যা দিয়ে অত্যন্ত সহজে এক ক্লিকেই কাজটি করা যায়। এই সফটওয়্যারটির উদ্ভাবক "সারিম", যিনি ইতিমধ্যেই বাংলা লিনাক্স জগতের মানুষের কাছে পরিচিত। এই সফটওয়্যারটি দিয়ে শুধু বাংলা ফন্টটি নয়, অন্যান্য যে ইংরেজী ডিফল্ট ফন্টগুলো দেয়া থাকে সেগুলোও আপনার পছন্দ মত পরিবর্তন করতে পারবেন।

সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করুন গুগল কোডের এই পেজ থেকে। এরপর ডেব প্যাকেজটি ডাবল ক্লিক করে ওপেন করে ইন্সটল করে নিন। অথবা, টার্মিনালের মাধ্যমে ইন্সটলে জন্য প্রথমে যে ফোল্ডারে প্যাকেটি রাখা আছে সেই ফোল্ডারে টার্মিনালের ডিরেক্টরী পরিবর্তন করুন, এরপর নিচের কমান্ডটি প্রয়োগ করুনঃ

sudo dpkg -i pyfontfixer.deb

সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০১১

কিভাবে বুঝবেন আপনার ডাউনলোড করা ISO ফাইলটি বুটেবল

একটি সহজ উপায় হচ্ছে ডাউনলোড করা সাইট থেকে পাওয়া md5sum চেক করা। তবে এখানে আমি টার্মিনালে কমান্ডের মাধ্যমে কিভাবে ডাউনলোড করা আইএসও ফাইলটি বুটেবল চেক করা যায়, সেই পদ্ধতিটি দেখাব।
টার্মিনাল খুলে ডিরেক্টরী পরিবর্তন করে, যেখানে আপনার আইএসও ফাইলটি সেভ করা আছে সেখানে যান। তারপর নিচের কোডটি লিখুনঃ

isoinfo -d -i name_of_iso.iso
এই কমান্ডের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ঐ আইএসওতে El Torito সেকশন আছে কিনা।

বুধবার, ৩০ মার্চ, ২০১১

উবুন্টুর সফটওয়্যার রিপোজিটরী হিসেবে আইএসপ্রোসের সার্ভার ব্যবহার পদ্ধতি

ISPROS গত অক্টোবর মাস থেকে বিভিন্ন লিনাক্স ডিস্ট্রোর মিরর হিসেবে কাজ করে আসছে। পরবর্তীতে এটি উবুন্টুর মিরর সাইট হিসেবেও কাজ শুরু করে। উবুন্টু এবং এর অফিসিয়াল সফটওয়্যারগুলো এই মিরর থেকে ডাউনলোড করা যায়। যারা স্মাইল/বিডিকম বা আইএসপ্রোসের ইন্টারনেট লাইন ব্যবহার করেন, তারা এই সাইট থেকে ১০০+ কেবি/সে স্পিডে ডাউনলোড করতে পারবেন (আপনার শেয়ারিং স্পিডের উপর নির্ভর করে এই স্পিড কম/বেশী হতে পারে)। তবে BDIX-এর সাথে যুক্ত অন্যান্য আইএসপির গ্রাহকগণও এই সুবিধা পাবেন বলে আশা করা যায়। আসুন তবে পদ্ধতিটি জেনে নেই।

একটি টার্মিনাল খুলে নিচের কমান্ডটি চালানঃ

sudo gedit /usr/share/python-apt/templates/Ubuntu.mirrors

শনিবার, ২৬ মার্চ, ২০১১

উবুন্টুতে স্মাইল/বিডিকম ইন্টারনেট কানেকশন কনফিগার পদ্ধতি

স্মাইল/বিডিকমের ইন্টারনেট কানেকশনগুলো PPPoE ধরণের। উবুন্টুতে এ ধরণের কানেকশন সহজে কানেক্ট করার পদ্ধতি দুইরকম। একটি NM Applet দিয়ে আরেকটি টার্মিনাল কমান্ড দিয়ে। তবে এন এম অ্যাপ্লেট দিয়ে কিছু সমস্যার সম্মুখীন হওয়ার কারণে আমি সবসময় টার্মিনাল দিয়ে কানেক্ট হই। তাই এখানে আমি টার্মিনাল দিয়ে পিপিপিওই কানেক্ট করার পদ্ধতি বর্ণনা করব। উল্লেখ্য, এই পদ্ধতিতে স্মাইলের মত অন্য যে কোন আইএসপি যারা পিপিপিওই কানেকশন দিয়ে থাকে, তাদের লাইনও কানেক্ট করা যাবে।

প্রথম ধাপঃ
একটি টার্মিনাল খুলে নিচের কমান্ডটি লিখে এন্টার কী চাপুনঃ
sudo gedit /etc/NetworkManager/nm-system-settings.conf
এই ফাইলের একদম শেষে "managed=false" লেখাকে "managed=true" করে দিন। ফাইল সেভ করে ক্লোজ করে দিন।**

সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

PySDM: উইন্ডোজ পার্টিশন অটোমাউন্ট করুন উবুন্টুতে

উবুন্টুতে কোন পার্টিশন কিভাবে মাউন্ট হবে সেই তথ্যগুলো /etc/fstab-এ লিপিবদ্ধ থাকে। আপনি কোনো পার্টিশনে ফাইল ফোল্ডার তৈরী,কপি,পেস্ট কিংবা ডিলিট করতে পারবেন কিনা তার পারমিশনগুলো এই fstab ফাইলে দেয়া থাকে। PySDM বা Python Storage Device Manager দিয়ে আপনি এই কাজটি সহজে গ্রাফিক্যাল ইন্টারফেসে করতে পারেন। পার্টিশন মাউন্ট করার জন্য আরেকটি জনপ্রিয় প্যাকেজ হচ্ছে NTFS-Config। তবে এটা দিয়ে শুধুমাত্র ntfs পার্টিশনগুলোই মাউন্ট করতে পারবেন। অপরপক্ষে pysdm দিয়ে ntfs ছাড়াও উইন্ডোজে আরেকটি বহুল ব্যবহৃত ফাইল সিস্টেম FAT32 পার্টিশনকেও মাউন্ট করতে পারবেন।

PySDM ইন্সটলের জন্য টার্মিনালে লিখুনঃ
sudo apt-get install pysdm
ইন্সটল শেষ হলে System>Administration>Storage Device Manager থেকে PySDM চালু করুন। এখানে নিচের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন আমার হার্ডডিস্কের মোট ৯টি পার্টিশন আছে। এরমধ্যে sda1,sda5-9 ছয়টি ntfs পার্টিশন এবং বাকি তিনটি উবুন্টুর রুট, হোম ও সোয়াপ। আমার কাজ হচ্ছে প্রথম ছয়টি এনটিএফএস পার্টিশনকে উবুন্টু চালু হওয়ার সময় অটোমাউন্ট করানো।

উবুন্টুতে ইন্সটল করুন Plymouth গ্রাফিক্যাল বুট প্রসেস থিম

প্লাইমাউথ হচ্ছে ফেডোরার একটি প্রজেক্ট যা কিনা ফ্লিকার মুক্ত গ্রাফিক্যাল বুট প্রসেস তৈরী করে। যারা ফেডোরা, কুবুন্টু বা অন্য কোন কেডিই ডিস্ট্রো ব্যবহার করেছেন, তারা হয়ত ইতিমধ্যে Plymouth থিমের নাম শুনেছেন বা ব্যবহার করেছেন। প্লাইমাউথের সাহায্যে আপনার উবুন্টুর বুট প্রসেসকে অত্যন্ত সুন্দর ও আকর্ষনীয় করে তুলতে পারেন। আসুন প্রথমে কিছু থিমের স্ক্রিনশট দেখে নেইঃ

ফেডোরার সোলার (উবুন্টু ভার্শন)

মঙ্গলবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

টিউটোরিয়ালঃ আলাদা পার্টিশন করে উবুন্টু ইন্সটল পদ্ধতি

উবুন্টু বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় একটি অপারেটিং সিস্টেম। অনেকে উইন্ডোজ ব্যবহারের পাশাপাশি কিছুদিনের জন্য উবুন্টু ব্যবহারের স্বাদ নিতে চান। কিন্তু মাসে দুই/তিন বার উইন্ডোজ ইন্সটল দেয়ার অভিজ্ঞতা থাকলেও উবুন্টু ইন্সটল দিলে কি না কি হয়, এই ভয়ে অনেকে উবুন্টু ইন্সটল করতে পারেন না বা চান না। আবার অনেকে কম্পিউটার সম্পর্কে অল্প-স্বল্প ধারণা থাকায় এই ব্যপারে রীতিমত আতংকিত থাকেন। আপনার উইন্ডোজ ইন্সটল করা পিসিতে উবুন্টু মূলতঃ দুইভাবে ইন্সটল করতে পারবেন, এক-হার্ডডিস্কে আলাদা পার্টিশন করে, দুই-Wubi দিয়ে উইন্ডোজের মধ্যে। Wubi অর্থাৎ, Windows based UBuntu Installer দিয়ে আপনি উইন্ডোজের মধ্যে উবুন্টু ইন্সটল করতে পারবেন, তবে এতে পারফরম্যান্স কিছুটা কম পাবেন। আর যদি আপনার উইন্ডোজ কখনও ক্র্যাশ করে তবে সমস্যায় পরতে পারেন। এই টিউটোরিয়ালে আমি আপনাদের দেখাবো কিভাবে সহজে আলাদা পার্টিশন করে উবুন্টু ইন্সটল করা যায়। এখানে উবুন্টু ১০.১০ ইন্সটল পদ্ধতি দেখানো হয়েছে।

সোমবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০১১

প্যানেলের ক্লক অ্যাপলেট কাস্টোমাইজেশন।

উবুন্টু ইন্সটলের পর উপরের প্যানেলে দিন-তারিখ-সময় সমন্বয়ে ক্লক অ্যাপলেট দেয়া থাকে। উবুন্টু ফন্ট সেটিংসে Application Font সেটিংসে যে ফন্ট/সাইজ দেয়া থেকে ঘড়িতে সেই ফন্ট/সাইজ ব্যবহৃত হয়। আপনি চাইলেই এই ঘড়ির ফন্ট/সাইজ ইচ্ছামত পরিবর্তন করতে পারেন, এমনকি ফন্টের রং পরিবর্তন সহ ফন্টকে বোল্ডও করতে পারেন। প্রথমে আসুন কিছু স্ক্রিনশট দেখে নেইঃ

Stacked
Just Time
OS X Style
যেভাবে পরিবর্তন করবেনঃ

 
Design by Free WordPress Themes | Bloggerized by Lasantha - Premium Blogger Themes | coupon codes